ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য মদনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সূজন বাজারের সূজন

ডাক্তার হতে চেয়েছিল কাশ্মীরের মুসলিম ছাত্রী রাফিয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ১৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত মাসেই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের ফল বেরিয়েছে। বাড়ির সবচেয়ে ছোট মেয়ে রাফিয়া পাশ করেছিল ৯৩ শতাংশ নম্বর নিয়ে। বাবা নাজির আহমেদ টিন্ডা স্বপ্ন দেখছিলেন ছোট মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবেন। দারিদ্র সত্ত্বেও মেয়ের লেখাপড়ার জন্য যথাসাধ্য খরচের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে আসা একটা ফোনে সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে গিয়েছে নাজির পরিবারের।

রোববার শ্রীনগরের ব্যস্ত বাজারে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন বছর উনিশের রাফিয়া নাজির। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করেও বাঁচানো যায়নি। শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে সোমবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তার। হজরতবালের নাজিরদের দু’কামরার ছোট্ট বাড়িতে ভিড় উপচে পড়ছে। রাফিয়ার বাবা নাজির আহমেদের কার্পেটের ব্যবসা। মোদি সরকারের দমন-পীড়ন ও মহামারিতে বিধ্বস্ত উপত্যকায় ব্যবসা তত ভাল চলে না। সংসার চালাতে দোকানে কাজ করেন রাফিয়ার এক বড় ভাই, সুহেল হুসেন। তার আরও এক বড় ভাই ও বোন রয়েছেন।

রোববার মা ফাহমিদা বেগম ও বড় বোন ফারহানা নাজিরের সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলেন রাফিয়া। আচমকা বোমা বিস্ফোরণে আহত হন তিন জনেই। কিন্তু রাফিয়ার আঘাত ছিল সবচেয়ে গুরুতর। তার মা ও বড় বোনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। ছোট বোনের মৃত্যুতে ফারহানা শুধু বলেন, ‘বোনের থেকেও বেশি ও আমার প্রিয় বন্ধু ছিল।’ হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে বাজারের সিসি ক্যামেরায়। এখনও পর্যন্ত কোনও কেউ দায় স্বীকার করেনি। ওই দিনই ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন মোহাম্মদ আসলাম নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি।

রাফিয়ার বড় ভাই সুহেল বলেন, ‘রাফিয়া যাতে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার হতে পারে, তার জন্য আমার পরিবার সব রকমের চেষ্টা করছিল। আমি নিজে দোকানে কাজ করতাম। চাইতাম সব রকম ভাবে ওকে সাহায্য করতে। আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল ওর উপরে।’ নাজির আহমেদও বললেন, ‘খুব বুদ্ধিমতি আর পরিশ্রমী মেয়ে ছিল। আমার সব স্বপ্ন ছারখার হয়ে গেল। কেন যে ওকে আমাদের থেকে ঈশ্বর ছিনিয়ে নিলেন!’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল

ডাক্তার হতে চেয়েছিল কাশ্মীরের মুসলিম ছাত্রী রাফিয়া

আপডেট টাইম : ০৭:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত মাসেই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের ফল বেরিয়েছে। বাড়ির সবচেয়ে ছোট মেয়ে রাফিয়া পাশ করেছিল ৯৩ শতাংশ নম্বর নিয়ে। বাবা নাজির আহমেদ টিন্ডা স্বপ্ন দেখছিলেন ছোট মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবেন। দারিদ্র সত্ত্বেও মেয়ের লেখাপড়ার জন্য যথাসাধ্য খরচের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে আসা একটা ফোনে সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে গিয়েছে নাজির পরিবারের।

রোববার শ্রীনগরের ব্যস্ত বাজারে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন বছর উনিশের রাফিয়া নাজির। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করেও বাঁচানো যায়নি। শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে সোমবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তার। হজরতবালের নাজিরদের দু’কামরার ছোট্ট বাড়িতে ভিড় উপচে পড়ছে। রাফিয়ার বাবা নাজির আহমেদের কার্পেটের ব্যবসা। মোদি সরকারের দমন-পীড়ন ও মহামারিতে বিধ্বস্ত উপত্যকায় ব্যবসা তত ভাল চলে না। সংসার চালাতে দোকানে কাজ করেন রাফিয়ার এক বড় ভাই, সুহেল হুসেন। তার আরও এক বড় ভাই ও বোন রয়েছেন।

রোববার মা ফাহমিদা বেগম ও বড় বোন ফারহানা নাজিরের সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলেন রাফিয়া। আচমকা বোমা বিস্ফোরণে আহত হন তিন জনেই। কিন্তু রাফিয়ার আঘাত ছিল সবচেয়ে গুরুতর। তার মা ও বড় বোনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। ছোট বোনের মৃত্যুতে ফারহানা শুধু বলেন, ‘বোনের থেকেও বেশি ও আমার প্রিয় বন্ধু ছিল।’ হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে বাজারের সিসি ক্যামেরায়। এখনও পর্যন্ত কোনও কেউ দায় স্বীকার করেনি। ওই দিনই ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন মোহাম্মদ আসলাম নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি।

রাফিয়ার বড় ভাই সুহেল বলেন, ‘রাফিয়া যাতে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার হতে পারে, তার জন্য আমার পরিবার সব রকমের চেষ্টা করছিল। আমি নিজে দোকানে কাজ করতাম। চাইতাম সব রকম ভাবে ওকে সাহায্য করতে। আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল ওর উপরে।’ নাজির আহমেদও বললেন, ‘খুব বুদ্ধিমতি আর পরিশ্রমী মেয়ে ছিল। আমার সব স্বপ্ন ছারখার হয়ে গেল। কেন যে ওকে আমাদের থেকে ঈশ্বর ছিনিয়ে নিলেন!’